শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন

দূষণে অস্তিত্বসংকটে লোহালিয়া-লাউকাঠী নদী

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী শহরের প্রতিদিনের উৎপাদিত বর্জ্যের বড় একটি অংশ নদীতেই ফেলায় দূষণে অস্তিত্বসংকটে লোহালিয়া ও লাউকাঠী নদী। ফলে নদীর পানি দিন দিন যেমন অপরিষ্কার এবং নোংড়া হচ্ছে তেমনি এসব বর্জ্যের কারণে নদীর পাড়ও ভরাট হচ্ছে। তবে এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো মাথাব্যথা নেই বললেই চলে।

পটুয়াখালী শহরের উত্তর পাশে বয়ে যাওয়া নদীর নাম লাউকাঠী আর শহরের পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর নাম লোহালিয়া। এই নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে পটুয়াখালী শহর। লোহালিয়া নদীর পাড়ের উত্তর অংশে গড়ে উঠেছে পুরানবাজার আর লাউকাঠী নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে নিউমার্কেট বাজার।

প্রতিদিন এই বাজারের মাছ, মাংস, মুরগী থেকে শুরু করে শাক-সবজি বেচাবিক্রি এখানে। তবে বাজারে প্রতিদিন যে পরিমাণ বর্জ্য উৎপন্ন হয় তা পুরোটাই নদী পাড়ে এবং নদীতে ফেলা হয়। কোনো ধরনের তদারকি কিংবা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে মনে করেন পরিবেশ বিষয়ে সচেতন মানুষরা।

শহরের নিউমার্কেট এলাকার মুরগি ব্যবসায়ী হাসান বলেন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা বাজারে আসে একবার। কিন্তু প্রতিটি দোকানে দিনে ময়লার স্তূপ তৈরি হয়। বাজারে বর্জ্য ফেলানোর নিদিষ্ট কোনো স্থান নেই। যে সেখানে আবর্জনা ফেলছে।

মৎস্য ব্যবসায়ী রানা বলেন, আমরা মাছ ব্যবসায়ী বাজার পরিষ্কার রাখা আমাদের দায়িত্ব। বাজারে বর্জ্য ফেলানোর জন্য কোনো ডাম্পিং জোন নেই যদি থাকতো তবে সেখানে ময়লা ফেলতো। বাধ্য হয়ে বর্জ্য নদীতে ফেলতে হচ্ছে। কিন্তু আমরা বাঁচার জন্য এই রকম করি।

এ সময় কথা হয় সবজিবিক্রেতা সুমনের সাথে। তিনি বলেন, কিছু করার নেই। আমরাতো বাধ্য হয়ে নদীদূষণ করছি। আমাদের জন্য ডাম্পিং জোন করে দিন। দেখবেন সবাই তখন সেখানে বর্জ্য ফেলবে। নদীদূষণ কমে যাবে।

পটুয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজু বলেন, পৌরসভার নিজস্ব কোনো ডাপিং স্টেশন নেই। এর পরও শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে তা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা হয়। ইতোমধ্যে ডাপিং জোন করার জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com